মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৩ পূর্বাহ্ন
কালের খবর রিপোর্ট :: প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করার প্রবণতা রোধে এবং ছিনতাইয়ের ঘটনা ঠেকাতেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর দিকে ঝুঁকছে।
শুক্রবার (৮ মার্চ) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ (টিওটি) কর্মশালায় তিনি একথা বলেন। সময় টিভি, একুশে টিভি, জাগো নিউজ
রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তির জন্য কারা দায়ী, সেটা বলার সুযোগ নির্বাচন কমিশনের নেই বলেও জানান সিইসি। তিনি বলেন, কারা সেজন্য দায়ী, কাদের কী করা প্রয়োজন, সেই শিক্ষা দেয়ার ক্ষমতা, যোগ্যতা কমিশনের নেই। কী কারণে এগুলো হচ্ছে তা বলারও কোনো সুযোগ নেই। সবাই মিলে বিষয়টি দেখতে হবে। তাহলেই অবস্থার উন্নতি হবে। সমাজে একটা অনিয়ম প্রবেশ করে, সেটাকে প্রতিহত করার জন্য আরেকটা আইন তৈরি করা হয়। তাই আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করার সুযোগ বন্ধে ইভিএম চালু করা হবে।
রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনমুখী করার ব্যাপারে ইসি কর্মকর্তাদের ভূমিকা আছে বলেও জানান সিইসি। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনমুখী করার ব্যাপারে আপনাদের ভূমিকা আছে। সুষ্ঠু নির্বাচনমুখী করার ভূমিকাও আপনাদের রয়েছে। আপনাদের আচারে, আচরণে, ব্যবহারে, কার্যক্রমে, যখন একটা অবস্থান সৃষ্টি হবে, তখন নির্বাচনের পরিবেশ-পরিস্থিতি ভালো হয়ে যাবে।
নূরুল হুদা বলেন, যারা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবেন, তাদের কোনো পক্ষ নেই। তাদের পক্ষ হলো, নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। কে কোন দল করে, কার প্রভাব বেশি, কার রাজনৈতিক পরিচয় কী– এসব মোটেও বিবেচ্য বিষয় নয়। সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করতে হবে।
গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। যে হেরে যাবে, তার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। আর যে জিতে যাবে, তার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এই হেরে যাওয়া আর জিতে যাওয়ার মাঝে আপনাদের দুর্বলতা থাকা চলবে না।
নির্বাচন কমিশনের যেসব কর্মকর্তা রিটার্নিং কর্মকর্তা/সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন, তারা সবচেয়ে বেশি ভালো করবেন বলেও মনে করেন সিইসি। তিনি বলেন, আইনকানুন, নিয়ম সব আপনাদের জানা। আপনারা কতটুকু সাহসিকতার সঙ্গে, নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পারেন, সেটাই বিষয়।